রমজান মাস আমাদের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছে। রমজান আসার সাথে সাথে খেজুরের চাহিদা ও বৃদ্ধি পায়। ইফতারির সময় খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত, যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সুন্নত পালনের পাশাপাশি ইফতারে খেজুর সুস্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে যে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়, খেজুর তা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে। একই সঙ্গে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় সারাদিনের ক্লান্তি শেষে খেজুর খেলে দ্রুত দুর্বলতা কেটে যায়।
ইসলামে খেজুরের গুরুত্ব খেজুর শুধু খাদ্য নয়, বরং ইসলামে এটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। হাদিস অনুযায়ী, নবী করিম (সা.) ইফতারে প্রথমে খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙতেন। মুসলিমদের জন্য এটি শুধু সুন্নত নয়, বরং স্বাস্থ্যকরও। ইসলামী ইতিহাসে খেজুরকে জান্নাতের ফল হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছে। এটি শরীরের শক্তি বাড়াতে এবং সারাদিন পেট খালি থাকার পর শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
খেজুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ✔ এটি তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে যা সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর কে কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করে। ✔ হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ✔ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ✔ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ✔ এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ✔ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে, যা সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। ✔ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ✔ প্রাকৃতিক চিনি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ✔ এতে প্রাকৃতিক ফাইবার রয়েছে, যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো। ✔ ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
Comments
Leave a Comment